কতগুলো শব্দে স্বভাবতই ‘ণ’ হয়:
চাণক্য, মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী
ফণী অণু বিপণী গণিকা।
আপণ লাবণ্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ।
চিক্কণ নিক্বণ তৃণ কফোণী বণিক গুণ
গণনা পিণাক পণ্য বাণ।
গল্পচ্ছলে:
এক বণিক কয়েকশ মণ লবণ বাণিজ্য করে। মণি, মাণিক্য তার পণ্যের তালিকায় নেই। অণু নামের এক নিপুণ লাবণ্যময়ী নারী কঙ্কণ, বেণু আর বীণা হাতে নিক্বণ করে শাণ বাঁধানো ঘাটে না গিয়ে বণিকের বিপণীতে আসে। নিজ আপণে স্থাণু হয়ে বসে বন্ধু পুণ্য ও চাণক্যের সঙ্গে আলাপে ব্যস্ত তখন নিপুণ সেই বণিক। অণু পণ করেছিল, তার দেহে এক কণিকা শোণিত থাকলেও বণিকের মুখোমুখি হবে সে এবং পাণিতে থাকবে তার মুত্যুবাণ।
স্বভাবতই ‘ষ’ হয়:
আষাঢ় শেষ ঈষৎ মেষ
ভাষা কলুষ ভাষ্য মানুষ।
ষোড়শ কোষ পৌষ রোষ
ষট পুরুষ পাষণ্ড প্রত্যূষ।
আভাষ ভাষণ অভিলাষ পোষণ
ঊষর তোষণ ঊষা শোষণ।
ঔষধ বিষাণ ষড়যন্ত্র পাষাণ।
বিশেষ ভূষণ সরিষা দূষণ।
গল্পচ্ছলে:
বাষ্পহীন আষাঢ়ের ঊষাকালে সরিষা ক্ষেতে মহিষ চরে। ঔষধ খেয়ে পঙ্গু মানুষের অভিলাষ হয়, রোষ ভুলে ষোড়শ ভূষণ পরবে সে আগামী পৌষে।
Comments
Post a Comment